• শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২২ ১৪৩১

  • || ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

কৃষিজমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৪  

ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় কাঁঠালতলী, চণ্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, আবাসন কোম্পানি ‘মধুসিটি হাউজিং’ সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে এলাকার কৃষিজমি দেদার দখল করে বালু ভরাটের মাধ্যমে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। এলাকার বেশিরভাগ সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও বেদখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে কোম্পানিটি। সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং কৃষিজমি রক্ষায় থানায় বহু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেও প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী।

সোমবার (৩ জুন) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেদখলকারীদের কবল থেকে সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং তিন ফসলী কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। ভূমিদস্যুদের থাবায় কৃষি জমিহারা কৃষক, বসত-ভিটা হারানো নিরীহ নারী-পুরুষ, স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক লোকজন ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন : কৃষিজমি রক্ষা করুন, সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার করুন’ ‘তিন ফসলী জমি খেকো মধুসিটির মালিক দুই ভাই ছলিম উল্যাহ ও হাবিবুর রহমান হাবিবের বিচার চাই’ ‘জান দেব, কৃষিজমি দেব না’ ‘মধুসিটি উচ্ছেদ করো, কৃষিজমি রক্ষা করো’- ইত্যাদি স্লোগান।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কাঁঠালতলী, চণ্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলকারী ‘মধুসিটি হাউজিং’য়ের মালিক দুই ভাই ছলিম উল্যাহ ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধনে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঁঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ প্রায় পুরো এলাকা কৃষিজমিহীন হওয়ার উপক্রম। সরকারি খাল-বিল-জলাশয় এবং গাছপালাও রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। এতে শুধু এলাকার কৃষিজমিই হ্রাস পাচ্ছে না, এলাকার পরিবেশও মারাত্মক হুমকির মুখে।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে- কৃষিজমির শ্রেণি বদল করা যাবে না। কিন্তু, এখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে কৃষিজমি ভরাট করে সব মরুভূমি বানিয়ে ফেলা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন আক্তার বলেন, আমরা গরু পালন করি, ঢাকায় গরুর দুধ বিক্রি করে আমাদের জীবন চলে। নিজেদের কৃষিজমিতে আমরা গরুর ঘাস চাষ করি। কিন্তু কৃষিজমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় আমরা এখন পথে বসেছি।

স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, মধুসিটি জোর করে মানুষের বসতভিটা ও কৃষিজমি বেদখল করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অ্যাডভোকেট মাসুদ বলেন, নিজের কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষায় স্থানীয়দের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বেদখলকারীদের ভয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। আরও কয়েকজন কৃষক এ ধরনের অভিযোগ করেছেন।