• শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২২ ১৪৩১

  • || ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

হিমুর প্রতিবেদন দাখিল পেছালো এক মাস

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪  

গত বছরের ২ নভেম্বর মারা গেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন বলে অনেকের ধারনা। যদিও এরইমধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটক হয়েছে তার বন্ধুও।

এদিকে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (১ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এই তারিখ ঠিক করেন। এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এই তারিখ ঠিক করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন হিমুর বাসায় তার প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) এবং মেকাপম্যান মিহির ছিলেন।

এরমধ্যে মিহির তার বাসাতেই থাকতেন আর রুফি ঘটনার ৬ মাস আগে থেকে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝেমধ্যে রাত্রীযাপন করতেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করে দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। গত ২ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে তিনি বাসায় প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন হিমু আত্মহত্যা করেছে। পরে মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি তো রুমেই ছিলেন।

রুফি জানান তিনি বাথরুমে ছিলেন। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে প্রবেশ করে তাকে ফাঁস নেওয়া অবস্থায় পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তারা দুজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে চলে যান। হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার খালা নাহিদ আক্তার গত ২ নভেম্বর রাতে জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলা দায়েরের পর রুফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।