`বিজিবির বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৪’  উদ্বোধন করেছেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বকুলতলা প্রাঙ্গণে নিজ হাতে একটি আমলকীগাছের চারা রোপণ করে বিজিবির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেন তিনি।  

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারকেলগাছের চারা রোপণ করে সর্বপ্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেন এবং ১৯৭৪ সালে জাতীয়ভাবে সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি পালন করেন।

তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন যে দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা মেনে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপিতে কর্মরত প্রত্যেক সদস্যকে তাঁদের স্থাপনার খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ, ভেষজ ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ করে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। 
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরে বিজিবি মহাপরিচালক অপ্রয়োজনীয়ভাবে গাছ না লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক সঠিক স্থানে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এবং সেগুলোর সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শুধু কর্মস্থলে নয়, বিজিবির সব সদস্যকে তাঁদের বাড়ির আঙিনার পতিত ও খালি জায়গায় শাক-সবজিসহ ফলমূল ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। বিজিবি মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন,  ‘গাছ বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়, বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, বায়ুদূষণ রোধ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই সুস্থ জীবন ও সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের বেশি করে গাছের চারা রোপণ করা প্রয়োজন।’ 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে বিজিবি সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফল করে চিরসবুজ সোনার বাংলা গড়তেও বিজিবির প্রত্যেক সদস্য বলিষ্ঠ অবদান রাখবেন বলে বিজিবি মহাপরিচালক দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, অভিযান কর্মসূচি-২০২৪-এর আওতায় বিজিবি দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায়ে সর্বমোট ৭৩ হাজার ৫১৫টি বৃক্ষ রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।