• বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৬ ১৪৩১

  • || ০৩ মুহররম ১৪৪৬

পদ্মা- যমুনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৪  

পানি বৃদ্ধির কারণে যমুনার তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে শিবালয়ের যমুনার নদীর পাড় ও চরাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায়  নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া, মধ্যনগর, ত্রিশুন্ডি ও চর বৈষ্টমীর এলাকার লোকজন নদী ভাঙনের কবলে পড়েছেন।  চরম হুমকির মুখে পড়েছেন তেওতা ইউনিয়নের গাঙধাইল এলাকার মানুষ।

তারা চরম আতঙ্কের মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। গত কয়েকদিনে ওই এলাকায় অনেক জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি এবং কমতির সময় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

নদী ভাঙন রোধে ভুক্তভোগী গ্রাম ও চরাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় , মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের গাঙধাইল গ্রামের নদী পারের বাড়ি-ঘর এবং ফসলি জমি বিগত বর্ষা থেকেই তীব্র নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙনের মুখ রয়েছে আলোকদিয়া চরাঞ্চল।  বর্ষায় নদীতে পানি বাড়ার সাথে নদী ভাঙনের শুরু হয়েছে।

দিন যতই যাচ্ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা ততই বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ ও বন দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে তেমন সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, পূর্ব পুরুষের ভিটাবাড়ি, জায়গা জমি সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ভাবতে কেমন জানি লাগে। শুষ্ক মৌসুমে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ফলে আজ এই অবস্থা।

অন্যদিকে হরিরামপুরে আন্দারমানিক এলাকায়ও নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী  ভাঙনরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, যে ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে তা একেবারেই নিম্নমানের এবং নদী থেকে মাটি বালি তুলে বস্তায় ভরে ফেলা হচ্ছে। এতে কোনো কাজ হবে না।  

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা জরুরিভাবে ঠিকাদারের মাধ্যমে সে সব স্থানে ভাঙন রোধে কাজ করছি। জরুরি কাজে ব্যবহৃত জিও ব্যাগ ও বালু অন্য সময়ের কাজের সাথে মিলবে না। জরুরি কাজের বাজেট কম থাকায় স্থানীয় বালু ও ভিন্ন জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।